ব্লগার ওয়েবসাইটে google search console এ সাবমিট করার নিয়ম

 Google search console কি? 

ওয়েবসাইটে কতজন ব্যক্তি ভিউ করছে,তাদের মধ্য থেকে এক্সাক্টলি কতজন গুগলে সার্চ দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটটা পেয়েছে, যদি আমরা এই জিনিসটা ট্রাক করতে চাই তাহলে আমরা যেখানে আমাদের ওয়েবসাইট সাবমিট করব সেটাই হচ্ছে এই গুগল সার্চ কনসোল।




গুগল সার্চ কনসোল হচ্ছে সেই জায়গা যেখান থেকে আমরা ট্রাপ করতে পারি বা দেখতে পারি আমাদের ওয়েবসাইটে গুগল কার থেকে এক্সাক্টলি কত গুলো ভিজিটর এসেছে এবং কোন কোন পেজ বেশি ভিউ হয়েছে, কত ভিউ হয়েছে,কোন ডিভাইস থেকে ভিউ হয়েছে,কোন দেশ থেকে ভিউ হয়েছে,কত পারসেন্ট মোবাইল থেকে ভিউ হয়েছে,কত পারসেন্ট ডেক্সটপ থেকে ভিউ হয়েছে এই সমস্ত কিছু, এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ের তথ্য আমরা ট্র্যাক করতে পারব গুগল সার্চ কন্ট্রোল এর মাধ্যমে।

Google search consult এর কাজ কি? 

গুগলের ঠিকমতো সাইড ইনডেক্স হয়েছে কিনা তা জানার জন্য গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করা হয়। ওয়েবসাইটের কোন পেজ ইনডেক্স না হলে বা ইনডেক্স রিলেটেড কোন সমস্যা খুঁজে বের করে তা সমাধান করার জন্য গুগল সার্চ কনসোল প্রয়োজন। এছাড়াও গুগল থেকে আসা সার্চ ট্রাফিক সম্বন্ধে ধারণা পেতেও গুগল সার্চ কনসোল প্রয়োজন।


গুগল সার্চ কনসোল একটি ফ্রি এবং শক্তিশালী টুল যা গুগলে ওয়েবসাইটের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বজায় রাখতে সাহায্য করে। গুগল সার্চ কনসোল নিরাপত্তা সমস্যা,ত্রুটি,সুচি এবং ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে এমন অন্যান্য সমস্ত সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক করে থাকে। এইট টুল সরাসরি গুগল থেকে ওয়েবসাইট সম্পর্কিত এসইও তথ্য পেতে সাহায্য করে।

ক্লিক,ইম্প্রেসন,CTR,অ্যাভারেজ পেজ ভিউজ বিশ্লেষণ

ক্লিক 

গুগলে যে ১০০ জন ব্যক্তি আমাদের ওয়েবসাইট সার্চ করেছে তার মধ্যে কতজন ব্যক্তি আমাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেছে সেটা হল ক্লিক।

ইম্প্রেশন

 গুগলে কতজন ব্যক্তি সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইট দেখতে পেয়েছে তা হলো ইম্প্রেশন। 

CTR

 CTR মানে হচ্ছে ক্লিক ফরেন্ট। গুগলে যখন মানুষ কোন কিছু লিখে সার্চ করে চাঁদের মধ্যে কত পারসেন্ট ব্যক্তি আমাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেছে তা হলো CTR বা তীর্থরে। 

অ্যাভারেজ পেজ ভিউজ

 কেউ যখন গুগলে কোন কিছু লিখে সার্চ করে আর সার্চ করার সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পোস্ট বা পেজ সামনে আসে আর সেই রেজাল্ট অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী থাকে আর এই সিরিয়ালকে এভারেজ পজিশন বা এভারেস্ট পেজ ভিউজ বলে।

robots.txt বিশ্লেষণ 

robot.txt এর মানে হচ্ছে আমরা robot.txt তে যা লিখব এই সেই লেখাটা ডিফাইন করবে যে আমাদের ওয়েবসাইটের কোন পেজ কোন পোস্ট গুগল সার্চ রেজাল্টে দেখাবে নাকি দেখাবে না কিভাবে দেখাবে কতগুলো দেখাবে কি কি রকম ভাবে দেখাবে এই সকল ব্যাপার গুলো আমরা ডিক্লেয়ার করতে পারব।

ব্লগার ওয়েবসাইট google search console এ সাবমিট করার নিয়ম

প্রথমে আপনার জিমেইল আইডি লগইন করতে হবে। গুগল সার্চ কনসোল এ লগইন করার পর একটি ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। উপরে বাম পাশে সার্ চ প্রপার্টি অপশন থেকে অ্যাড প্রপার্টিতে ক্লিক করতে হবে। অ্যাড প্রপার্টিতে ক্লিক করার পর উপরোক্ত পেজ সামনে আসবে। গুগল সার্চ কনসোলের সাথে ব্লগার ওয়েবসাইট যুক্ত করার জন্য দুইটি উপায় আছে।

 প্রথমটি হচ্ছে ডোমেইন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইউআরএল প্রেফিক্স। ইউ আর এল প্রেফিক্স সিলেক্ট করে এখানে আপনার ডোমেন বা সাবদোমেইন টাইপ করতে হবে। অতঃপর কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখন উপরোক্ত পেজ পদর্শিত হবে।এখানে উক্ত ব্লক বা ওয়েবসাইটের মালিক সেটা ভেরিফাই করতে হবে।

 ভেরিফাই করার জন্য অনেকগুলো অপশন রয়েছে যেমন-HTML file, HTML tag, Google analytics, Google tag manager। তবে এখানে আমরা HTML tag এর মাধ্যমে আমাদের ব্লক বা ওয়েবসাইট ভেরিফাই করব। অতএব HTML tag ক্লিক করতে হবে। Google একটি HTML tag প্রদান করবে যা কপি করে ব্লগারের এইচটিএমএল কোড এর মধ্যে সেভ করতে হবে।

 কফি বাটনে ক্লিক করে সম্পন্ন করতে কপি করে অন্য একটি উইন্ডোতে ব্লগারের লগইন করতে হবে। এবার ব্লগারের লগইন করার পর বাম পাশের সাইডবার্গ থেকে থিম অপশনে গিয়ে HTML এ ক্লিক করলে ব্লগারের HTML পেজটি ওপেন হবে। এই পেজে অনেক ধরনের কোড আছে তবে এগুলো দেখে ভয় পাবার কোন কারণ নেই কারণ প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। 

এই পেজের কোড লেখার যেকোনো একটিঅপশনে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট ডোমেইনগায় মাউস পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করে control +f প্রেস করে সার্চ বক্সে<head>টাইপ করে ইন্টার প্রেস করার সাথে সাথে<head>অপশনটি মার্ক হয়ে যাবে।<head>এর শেষে মাউসের write button এ ক্লিক করে ইন্টার প্রেস করলে<head>এরপর একটি ফাঁকা লাইন হয়ে যাবে।

 এই থাকার লাইনটিতে গুগল সার্চ কন্ট্রোল এর উক্ত কোডটি পেস্ট করে সেভ করতে হবে।<head>সেকশনে কোটি পেস্ট করার পর ওপরের দিকে ডান পাশের সেভ আইকনটিতে ক্লিক করলে update successful লেখা আসবে মানে এটা সেভ হয়ে গেছে। এখন আবারো গুগল সার্চ কনসোলে ফিরে যেতে হবে। 

এবার HTML tag এর verify অপশনটিতে ক্লিক করে ownership verify করুন। ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করার পর ownership verified নাম ক একটি মেসেজ শো করবে। অতএব আপনার ওয়েবসাইট যথাযথভাবে গুগল সার্চ কন্ট্রোল এর সাথে যুক্ত হয়েছে। 

এখন সাইট ম্যাপ সাবমিট করতে হবে। সাইড ম্যাপ সাবমিট করতে সার্চ কন্ট্রোল এর বাম পাশের সাইড বারে সাইট ম্যাপ অপশনে ক্লিক করলে দেখবেন add a new site map অপশনে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট ডোমেইন এর পাশে একটি বক্স রয়েছে।

 উক্ত বক্সে sitemap.xml টাইপ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। সাইট ম্যাপ যথাযথভাবে সাবমিট করা হলে site map submitted successfully দেখাবে। এবার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলোকে থার্ট কনসোলে ইনডেক্স করতে হবে।

Google ম্যানুয়াল ইনডেক্স এবং ইনডেক্সিং,টেকনিক

অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়েবসাইটের একটি পোস্ট অনেকদিন হয়ে গেছে তার পরেও রেংক করছে না। সেই ক্ষেত্রে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলোকে ম্যানুয়ালি গুগল স্মার্ট অঞ্চলের সাবমিট করতে পারি। প্রথমে ওয়েবসাইটের সব লিংকগুলো কপি করে গুগল সার্চ অঞ্চলে আসতে হবে এরপর এখানেURL inspection নামের সেকশনে প্রেস করলে এটা ভিজিবল দেখাবে।

 এরপর এখানে রাইট ক্লিক করে সেই লিংকটা প্রেস করে কি বোর্ড থেকে ইন্টার টেস্ট করলে এখানে একটি রেজাল্ট দেখানো হবে যে এই পোস্টগুলি গুগল ইনডেক্স করেছে কি করেনি। যদি এখানে দেখায় যে পোস্ট ইনডেক্স হয়নি তবে এখানে request indexing এ প্রেস করে গুগলকে সাবমিট করে দিতে হবে। 

যদি আমাদের পোষ্টের মধ্যে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের নীতিমালা গুলো রয়েছে সেগুলো ভঙ্গ না হয়ে থাকে এবং সকল নিয়ম নীতি ঠিক রেখে পোস্টগুলো লিখে থাকি এবং request indexing এ সাবমিট করে থাকি তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে দেখতে পাবো এই লিংকটা google search এর শো করছে।

শেষ কথা 

গুগল সার্চ কনসোল এর ওয়েবসাইট যুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। সুতরাং ওপরের নির্দেশনা অনুসরণ করে খুব সহজে এই ধাপটি সম্পন্ন করতে পারবেন।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url