Google analytics কি এবং এর কাজ কি?
Google analytics কি এবং এর কাজ কি?
Google analytics অর্থ বিশ্লেষণ। আমাদের ওয়েবসাইটে যে সকল ট্রাফিক বা ভিজিটর বা ভিউস বা সাধারণ কোন ব্যক্তিরা বিভিন্ন information জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে পড়তে আসে এসকল ইনফরমেশন গুলো যদি আমরা বিচার বিশ্লেষণ করতে চাই বা দেখতে চাই কে ভিজিট করেছে।
আজকে সারাদিনে কতজন ব্যক্তি আমার ওয়েবসাইটে এসেছে এর মধ্যে কে কোন পেজ ভিজিট করেছে এই মুহূর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে কতজন ব্যক্তি উপস্থিত আছে তারা কে কোন পোস্ট পড়ছে কতজন কোন পোস্ট ভিউ করছে কতক্ষণ ধরে কোন পোস্ট পড়ছে কে কোন ব্রাউজার থেকে কোন পোস্ট পরছে, সমস্ত তথ্যগুলো যদি আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করতে চাই সেজন্য google analytics ব্যবহার করা হয়। সহজ কথায় আমাদের ওয়েবসাইটে যত ভিউজ বা ট্রাফিক আসে এই সকল ট্রাফিকের ইনফরমেশন গুলার বিশ্লেষণ করাই হচ্ছে google analytics এর কাজ।
কেন ব্যবহার করবেন google analytics
ওয়েবসাইটকে google রেংকিং এর শীর্ষে নিয়ে যেতে চাইলে গুগল এনালাইটিক স ব্যবহারের বিকল্প নেই। গুগল এনালাইটিস কেন ব্যবহার করবেন নিচে তার ব্যাখ্যা করা হলো-
১. Google analytics সম্পূর্ণ ফ্রি
কোন প্রকার অর্থ ব্যয় করা ছাড়াই গুগলের এই সার্ভিসটি আপনি উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও এটি আপনার ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে থাকে। Google analytics ডাটা বিশ্লেষণের আরো বেশি বেশি সব তথ্য উপস্থাপন করে থাকে কোন রকম খরচ ছাড়াই।
২. অটোমেটিক ডেটা সংগ্রহ
আপনার ওয়েবসাইট যদি google analytics এ সাবমিট করা থাকে তাহলে এখানে আপনার কাজ শেষ। পরবর্তী কাজগুলো গুগল অ্যানালাইটিকস আপনাকে করে দিবে। google analyticsওয়েবসাইটের ভিজিটরদের যাবতীয় তথ্য অটোমেটিক সংগ্রহ করে আপনাকে প্রদান করবে।
৩. পছন্দমতো রিপোর্ট দেখা
google analyticsব্যবহার করে ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স নিজের পছন্দমত দেখতে পারবেন। এর জন্য আপনি অনেকগুলো গুগল রিপোর্ট টেমপ্লেট থেকে পছন্দ করে নিজের কাস্টমার রিপোর্ট তৈরি করতে পারেন। পাশাপাশি প্রতিদিনকার হিসাব সাপ্তাহিক,মাসিক, এবং বাৎসরিক হিসাব গুলো একসাথে দেখতে পারবেন।
৪. ভিজিটরদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা
আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশের পরে একজন ভিজিটর কি করে কোন পেজে যায় এ সকল তথ্য যেহেতু আপনি google analytics এর মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছেন এর ফলে আপনি ভিজিটরদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও যদি আপনি দেখেন যে ভিজিটররা নির্দিষ্ট কোন একটি আর্টিকেল বেশি ভিজিট করছে অথবা গুগলে বেশি সার্চ করছে, তখন ওই আর্টিকেলটির পূর্বের থেকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ আপনি নিতে পারবেন। পাশাপাশি সেই আর্টিকেলটিতে নতুন নতুন তথ্য যুক্ত করে সেটিকে আপডেট করতে পারবেন।
৫. Bounce rate পরীক্ষা ও সমাধান
একজন ভিজিটর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি ভাবে জরুরী ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেই যেন সাথে সাথে বের না হয়ে যায়। ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটরদের বের হয়ে যাওয়ার মাত্রা আপনি google analytics এর bounce rate পর্যালোচনার মাধ্যমে জানতে পারবেন। এতে করে আপনি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন এবং এর পরিমাণ যথাসম্ভব হ্রাস করতে পারবেন।
৬.পারফেক্ট সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে টার্গেট করা
google analytics ব্যবহারের ফলে আপনি জানতে পারবেন কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনার ওয়েবসাইটে সর্বোচ্চ ট্রাফিক বা ভিজিটর আসে। এতে করে আপনি সবথেকে ভালো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে টার্গেট করতে পারবেন।
Google analytics কিভাবে সেটাপ করবেন?
প্রথমে গুগল একাউন্টে লগইন করতে হবে এরপরে আপনার google analyticsএকাউন্ট এর নাম দিতে হবে। এবার আপনার ওয়েবসাইটে ট্রেকিং করতে ইন্সটল করতে বলা হবে এর জন্য, Google analytics>admin>data streams>add streams বাটন ক্লিক করে আপনার প্রপার্টির ধরন যেমন-web,ios app, Android app select করতে হবে। এরপর Google analytics আপনার জন্য একটি ট্রাকিং কোড তৈরি করে দিবে যা আপনার ওয়েবসাইটে ইন্সটল করতে হবে। ওয়েবসাইটের সকল পেজ এর হেডার সেকশনের ট্রাকিং কোডটি পেস্ট পড়তে হবে। এভাবে এটি ইন্সটল করা যায়। ট্র্যাকিং কোড ইনস্টল হওয়ার সাথে সাথেই Google analytics আপনার ওয়েবসাইটে আশার লোকজনের তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে দিবে।
মন্তব্য
অনলাইনে আপনি অনেক ধরনের তুলসী পাবেন কিন্তু ওয়েবসাইট মনিটরের এমন বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ অ্যানালাইসিস টুল আর কোথাও নেই। Google analytics ব্যবহার করার জন্য অনেকগুলো ভালো কারণ রয়েছে এবং ব্যবহার না করার কোন একটি ও কারণ নেই। Google analytics ব্যবহারের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায় সুতরাং Google analytics আপনার ওয়েবসাইটে সেটআপ করুন। আপনার ওয়েবসাইটের সাফল্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url